দক্ষিণ কোরিয়ায় শিপবিল্ডিং খাতে বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগ ২০২৩: ১৪ টি বিষয় আপনার জানা উচিত


 দক্ষিণ কোরিয়ায় শিপবিল্ডিং খাতে কর্মী হিসেবে যেতে চাইলে ১৪ টি বিষয় জানা উচিত

২০০৩ সালের ২০ শে জুলাই ইপিএস এর আওতায় দক্ষিণ কোরিয়ায় শিপবিল্ডিং  খাতে বাংলাদেশি প্রার্থীদের চাকরিতে নিয়োগের লক্ষ্যে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রচার করে।  আমরা এই বিজ্ঞপ্তিটি বিশ্লেষণ করে আপনাদের সামনে ১৪ টি বিষয়ে আলোচনা করব।  যদি কেউ দক্ষিণ কোরিয়ায় শিপবিল্ডিং  খাতে বাংলাদেশ থেকে যেতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই এই ১৪ টি বিষয় সম্পর্কে যথাযথ জ্ঞান থাকতে হবে।  যদি আপনি এই ১৪ টি বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানেন তাহলে আপনি সঠিকভাবে প্রস্তুতিসহ প্রত্যেকটি ধাপ সাফল্যের সাথে অতিক্রম করতে নিজেকে ভালোভাবে প্রস্তুত করতে পারবেন। 

দক্ষিণ কোরিয়ায় শিপবিল্ডিং খাতে কর্মী হিসেবে যেতে চাইলে ১৪ টি বিষয় জানা উচিত:

১। পরীক্ষায় অংশগ্রহণের যোগ্যতা

২। প্রাথমিক ও চূড়ান্ত নিবন্ধন

৩। বাছাই প্রক্রিয়া:

 ৪। ১ম রাউন্ড পরীক্ষা (ইপিএস-টপিক)

৫। ২য় রাউন্ড পরীক্ষা (স্কীল টেস্ট):

৬। কম্পিটেন্সি টেস্ট

৭। সময় সূচি ঘোষণা (সম্ভাব্য):

৮। সম্ভাব্য প্রথম রাউন্ড উত্তীর্ণকারীর সংখ্যা

৯। ইন্ডাস্ট্রি ও সাবক্যাটাগরি

১০। স্কিল টেস্ট বিবরণ

১১। নির্ধারিত তারিখ ও সময়ের মধ্যে নিবন্ধন সম্পন্ন করতে হবে 

১২। নিবন্ধনকালীন কোনো প্ৰাৰ্থী সমস্যা/ জটিলতার সম্মুখীন হলে এ সংক্রান্ত গুগল ডকস ফর্ম 

১৩। নিবন্ধন সংক্রান্ত বিষয়ে কোনো ব্যক্তি বা প্রাতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে গ্রহণযোগ্য অভিযোগ থাকলে এ সংক্রান্ত গুগল ডকস ফর্ম

১৪। নিবন্ধন ও চাকরি সংক্রান্ত সতর্কতা


Shipbuilding job in south Korea from Bangladesh


১। পরীক্ষায় অংশগ্রহণের যোগ্যতা:


ইপিএস-এর আওতায় দক্ষিণ কোরিয়ার শিপবিল্ডিং খাতে বাংলাদেশি প্রার্থীদের চাকরিতে নিয়োগের লক্ষ্যে কোরীয় ভাষা পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য যোগ্যতা:

১। কোরীয় ভাষা পড়া, লেখা ও বোঝার পারদর্শিতা থাকতে হবে (এ সংক্রান্ত সনদ অবশ্যক);

২। বয়স সীমা ১৮ থেকে ৩৯ বছর (জন্ম তারিখ জুলাই ২৫, ১৯৮৪ থেকে জুলাই ২৪, ২০০৫ এর মধ্যে হতে হবে);

৩। শিপবিল্ডিং খাতে নির্ধারিত প্রশিক্ষণ ও ন্যূনতম ১ বছরের অভিজ্ঞতার সনদ থাকতে হবে;

৪। শিপবিল্ডিং খাতে যে কোনো কাজ করার আগ্রহ থাকতে হবে;

৫। পাসপোর্ট-এর মেয়াদ ২৫ জুলাই ২০২৩ পর্যন্ত হালনাগাদ থাকাতে হবে;

৬। পাসপোর্ট ও জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্যের সঙ্গে নাম ও জন্ম তারিখ এবং ছবির মিল থাকতে হবে;

৭। পোশাক-পরিচ্ছদ, আচার-আচরণ ও কথোপকথনে মার্জিত হতে হবে;

৮। কালার ব্লাইন্ডনেস বা রঙ বোঝার সক্ষমতার সমস্যামুক্ত হতে হবে;

৯। মাদকাসক্ত/সিফিলিস শনাক্ত ব্যক্তিগণ অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন;

১০। ফৌজদারি অপরাধে জেল বা অন্য কোনো শাস্তি প্রাপ্ত ব্যক্তি অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন;

১১। দক্ষিণ কোরিয়ায় অবৈধ অবস্থানকারীগণ অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন;

১২। ইপিএস-এর আওতায় বর্তমানে রোস্টারভুক্তগণ অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন;

১৩। দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা আছে এমন ব্যক্তিগণ অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন এবং

১৪। ই-৯ বা ই-১০ ভিসায় কোরিয়াতে ৫ বছরের বেশি অবস্থানকারীগণ অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।

বি. দ্র: ২ নং ক্রমিকে বর্ণিত শর্ত পূরণে সক্ষম নন এমন কেউ আবেদন করলে তার নিবন্ধন বাতিল বলে গণ্য হবে এবং আগামী ০৩ (তিন) বছরের জন্য ইপিএস কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে পারবে না মর্মে কালো তালিকাভুক্ত করা হবে।

Shipbuilding job in south Korea from Bangladesh


২। প্রাথমিক ও চূড়ান্ত নিবন্ধন


১। শিপবিল্ডিং খাতে চাকরির জন্য কোরীয় ভাষা পরীক্ষায় অংশগ্রহণের লক্ষ্যে উপরে বর্ণিত যোগ্যতার শর্তাবলী পূরণকারী আগ্রহী প্রার্থীগণকে আগামী ২৪ জুলাই সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত আগে আসলে আগে পাবেন (first come first serve) ভিত্তিতে নির্ধারিত নিবন্ধন সাইটে চাহিত তথ্য (যেমন-নাম, জন্ম তারিখ, পাসপোর্ট নম্বর, কোরীয় ভাষা প্রশিক্ষণের ন্যূনতম ১২০ ঘণ্টার সনদ-এর কপি পিডিএফ ফরম্যাট সর্বোচ্চ-১এমবি, শিপবিল্ডিং খাতে নির্ধারিত প্রশিক্ষণ ও ন্যূনতম ১ বছরের অভিজ্ঞতার সনদ- এর কপি পিডিএফ ফরম্যাট সর্বোচ্চ-১এমবি, পাসপোর্ট কপি, ছবি এবং মোবাইল নম্বর ইমেইলসহ অন্যান্য তথ্য) পূরণপূর্বক প্রাথমিক নিবন্ধন সম্পন্ন করতে হবে।

নির্ধারিত ২৪৬৪ (দুই হাজার চারশ চৌষট্টি) জন প্রার্থীর চূড়ান্ত নিবন্ধনের লক্ষ্যে ৩০০০ (তিন হাজার) জন প্রার্থী প্রাথমিক নিবন্ধন সম্পন্ন হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিবন্ধন সাইট বন্ধ হয়ে যাবে। তবে যদি একই সাথে (in parallel) একাধিক প্রার্থী শেষ ব্যক্তি হিসেবে আবেদন সম্পন্ন করেন, তবে তাদের সকলকেই প্রাথমিক নিবন্ধন এর সুযোগ দেয়া হবে। প্রাথমিক নিবন্ধন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করলে প্রার্থী একটি Submission ID পাবেন যার ফরম্যাট নিম্নরূপঃ 230000001। Submission ID এর শেষের ৪ ডিজিট দ্বারা প্রাথমিক নিবন্ধিত প্রার্থীর ক্রম বোঝা যাবে।

২। প্রাথমিক নিবন্ধিত প্রার্থীদের মধ্য হতে প্রথম ৩০০০ (তিন হাজার) জন প্রার্থী (Submission ID 230000001 থেকে 230002464) চূড়ান্ত নিবন্ধনের লক্ষ্যে ২৪ জুলাই সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টার মধ্যে আগে আসলে আগে পাবেন (first come first serve) ভিত্তিতে এইচআরডি কোরিয়া কর্তৃক নির্ধারিত ফি স্কিলটেস্টসহ ২৮ মার্কিন ডলার সমপরিমাণ বাংলাদেশি টাকা + (এইচআরডি কোরিয়াতে মার্কিন ডলার প্রেরণের জন্য ব্যাংক চার্জসহ) ৩১০০/- (তিন হাজার একশ) টাকা + নির্ধারিত অনলাইন ফি ৫০০/- (পাঁচশ) টাকা মোট ৩,৬০০/- (তিন হাজার ছয়শ) টাকা + বিকাশ কমিশন ৪১.৪০ (একচল্লিশ টাকা চল্লিশ পয়সা) অফেরতযোগ্য বিকাশ অ্যাপ-এর মাধ্যমে প্রদান সাপেক্ষে চূড়ান্ত নিবন্ধন সম্পন্ন করে কোরীয় ভাষা পরীক্ষার প্রবেশপত্র গ্রহণ করবেন। 

শুধুমাত্র প্রথম ২৪৬৪ (দুই হাজার চারশ চৌষট্টি) জন প্রাথমিক নিবন্ধিত প্রার্থীদের জন্য প্রযোজ্যঃ একজন প্রার্থী প্রাথমিক নিবন্ধন করার পর তার আবেদনটি কিছু প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাবে। ফলে, প্রাথমিক নিবন্ধনের ৫-১০ মিনিট পর তিনি ফি প্রদান করতে পারবেন।

৩। আগামী ২৫ জুলাই সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা মধ্যে উল্লেখিত (ক্রমানুসারে প্রথম) ২৪৬৪ (দুই হাজার চারশ চৌষট্টি) প্রার্থীর মধ্যে যদি কেউ চূড়ান্ত নিবন্ধন সম্পন্ন না করেন, তবে তার প্রাথমিক নিবন্ধন বাতিল হয়ে যাবে। এমতাবস্থায়, ২৪৬৪ (দুই হাজার চারশ চৌষট্টি) জনের কোটা পূর্ণ করার লক্ষ্যে Submission ID এর পরবর্তী ক্রমানুসারে প্রাথমিক নিবন্ধিত প্রার্থীদের চূড়ান্ত নিবন্ধনের জন্য নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দিয়ে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ধারাবাহিকভাবে সুযোগ দেয়া হবে। 

এই ক্ষেত্রে পরবর্তী ক্রমানুসারে কারা সুযোগ পাবেন সেই তালিকা (Submission ID এর ক্রমানুসারে) এবং কতক্ষণের মধ্যে এই সুযোগ গ্রহণ করে চূড়ান্ত নিবন্ধন সম্পন্ন করতে হবে তা বোয়েসেল-এর ফেইসবুক পেইজ- https://www.facebook.com/boesl.gov.bd এর মাধ্যমে জানা যাবে। অর্থাৎ প্রদত্ত নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তালিকাভুক্ত একজন প্রাথমিক নিবন্ধিত প্রার্থী যদি চূড়ান্ত নিবন্ধন না করেন, তবে তার প্রাথমিক নিবন্ধন বাতিল হয়ে যাবে, এবং ক্রমানুসারে পরবর্তী প্রাথমিক নিবন্ধিত প্রার্থীকে সুযোগ দেয়া হবে (পরবর্তী তালিকা ও সময় প্রকাশের মাধ্যমে)। সুতরাং প্রাথমিক নিবন্ধিত প্রার্থীদের মধ্যে যারা নির্ধারিত ২৪৬৪ (দুই হাজার চারশ চৌষট্টি)-এর অতিরিক্ত প্রার্থীকে সার্বক্ষনিক বোয়েসেল-এর ফেইসবুক পেইজ ফলো করতে হবে। প্রাথমিক নিবন্ধিত সকল প্রার্থীকে তাদের submission ID সংরক্ষণ করার জন্য পরামর্শ দেয়া যাচ্ছে।

৪। নির্ধারিত সময়ে ২৪৬৪ (দুই হাজার চারশ চৌষট্টি) জন প্রার্থী চূড়ান্ত নিবন্ধন সম্পন্ন হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে চূড়ান্ত নিবন্ধন কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাবে।


৩।  বাছাই প্রক্রিয়া:


1) প্রথম রাউন্ড পরীক্ষা (EPS-TOPIK) 

2 দ্বিতীয় রাউন্ড পরীক্ষা (স্কীল টেস্ট + কম্পিটেন্সি টেস্ট)

(3) প্রাপ্ত স্কোর যোগ


চূড়ান্ত বাছাই: উভয় রাউন্ডে প্রাপ্ত মোট স্কোর হতে উচ্চ স্কোরের ভিত্তিতে চূড়ান্ত বাছাই 

< ইন্ডাস্ট্রি ভিত্তিক পয়েন্ট বন্টন >

ইন্ডাস্ট্রি: শিপবিল্ডিং 

মোট পয়েন্ট: ২০০

ইপিএস টপিক (পয়েন্ট): ১০০

স্কীল টেস্ট (পয়েন্ট): ১০০


কম্পিটেন্সি টেস্ট (অতিরিক্ত পয়েন্ট)

চাকরির অভিজ্ঞতা (সর্বনিম্ন ১বছর): ৫ পয়েন্টস

ভোকেশনাল ট্রেনিং সম্পন্ন (ন্যূনতম ২০০ ঘন্টা): ৩পয়েন্ট

জাতীয় সনদ (ন্যূনতম ডিগ্রি/সমমান): ২পয়েন্ট


৪।  ১ম রাউন্ড পরীক্ষা (ইপিএস-টপিক)


১। পরীক্ষার সময় (প্রশ্ন) : ৫০মিনিট [রিডিং (২০টি প্রশ্ন) ২৫মিনিট, লিসেনিং (২০টি প্রশ্ন) ২৫মিনিট]

২। পরীক্ষার ধরণ- নৈর্বক্তিক প্রশ্ন, রিডিং ও লিসেনিং এর মাঝে কোন বিরতি নেই

৩। পয়েন্ট বন্টন: ১০০ পয়েন্টস (প্রতি প্রশ্নে ২.৫ নম্বর)

৪। ইপিএস টপিক উত্তীর্ণকারীর সংখ্যা: চূড়ান্ত নির্বাচিতব্য প্রার্থীর সর্বোচ্চ ২গুন (উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য ন্যূনতম ৪৭.৫ নম্বর প্রয়োজন

* প্রয়োজনে চূড়ান্ত উত্তীর্ণ প্রার্থী সংখ্যার ভিত্তিতে ১ম রাউন্ডে উত্তীর্ণ প্রার্থীর সংখ্যা সমন্বয় করাহতে পারে।


৫। ২য় রাউন্ড পরীক্ষা (স্কীল টেস্ট):


১। স্কীল টেস্টের আওতাভুক্ত ইন্ডাস্ট্রি: শিপবিল্ডিং

২। ↑ শারীরিক সক্ষমতা, 2 ইন্টারভিউ, 3 বেসিক স্কীল নিয়ে গঠিত

৩। পয়েন্ট বন্টন :

ইন্ডাস্ট্রি: শিপবিল্ডিং = মোট ১০০

স্কীল টেস্ট

শারীরিক সক্ষমতা =80

ইন্টারভিউ = ৩০

বেসিক স্কীল = ৩০


৬। কম্পিটেন্সি টেস্ট


১। অংশগ্রহণ (ইপিএস টপিক উত্তীর্ণ ব্যক্তি): প্রথম রাউন্ড পরীক্ষা (ইপিএস টপিক) উত্তীর্ণকারীদের মধ্যে আবেদিত ইন্ডাস্ট্রি সম্পর্কিত চাকরির অভিজ্ঞতা, ভোকেশনাল ট্রেনিং, কলেজ বা বিশ্ববিদ্যলয় থেকে স্নাতক ডিগ্রিধারী এমন ব্যক্তি। 

২। কম্পিটেন্সি টেস্ট সংক্রান্ত ফর্মসমূহ সেন্ডিং এজেন্সির হোমপেইজ ও রিসেপশন ডেস্কে পাওয় যাবে। প্রযোজ্য ফর্মটি পূরণ করে সত্যতা যাচাইয়ের জন্য জমা দিন।

* আবেদিত ইন্ডাস্ট্রি সাব ক্যাটাগরি সম্পর্কিত চাকরির অভিজ্ঞতা, প্রযুক্তিক প্রশিক্ষণ, ন্যাশনাল সার্টিফিকেট না থাকলে এই সংক্রান্ত কোন প্রামাণিক কাগজ পত্র জমা দিতে হবে না। জমা দেয়ার সময়সীমা: ২য় রাউন্ড পরীক্ষার নিবন্ধনের শেষ দিন পর্যন্ত।


৩। কম্পিটেন্সি টেস্ট'র জন্য জমাকৃত প্রামাণিক কাগজপত্র’র সত্যতা যাচাই


• ভুয়া কাগজপত্র জমা দিয়ে থাকলে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর পরীক্ষার ফলাফল বাতিল করা হবে এবং পরবর্তী ৩ বছর ইপিএস টপিক অংশগ্রহনের অযোগ্য ঘোষণা করা হবে। এছাড়াও সেন্ডিং এজেন্সির সহযোগিতায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

• চূড়ান্ত বাছাইয়ের পরে কারো কাগজপত্র ভূয়া প্রমানিত হলে তার ফলাফল বাতিল, জবসীকার্স রোস্টার থেকে বাদ দেয়া, পরবর্তী ৩বছর পরীক্ষায় অংশগ্রহনে অযোগ্য ঘোষণা করা হবে।


প্ৰথম ধাপ: স্কীল টেস্ট'র নিবন্ধনের সময় জমাকৃত প্রামাণিক কাগজপত্রের সত্যতা যাচাই [Sending Agency]

দ্বিতীয় ধাপ: আবেদিত ইন্ডাস্ট্রি সাবক্যাটাগরি সম্পর্কিত প্রশ্নে করে ইন্টারভ্যূ [HRDKorea, Inte rviewer]

তৃতীয় ধাপ: স্কীল টেস্ট'র পরে সন্দেহজনক কাগজপত্র পুনরায় চেক [HRDKorea + Sending Agency]


৭। সময় সূচি ঘোষণা (সম্ভাব্য):


১। সময় সূচির নোটিশ: ১৪ আগস্ট ২০২৩

২। ইপিএস টপিক অনুষ্ঠান: ২১~২৪ আগস্ট, ২০২৩ 

৩। ইপিএস টপিক ফল প্রকাশ : ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ 

৪। কম্পিটেন্সি টেস্ট: ১৩~১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ 

৫। স্কিল টেস্ট সময় সূচির নোটিশ: ১০ অক্টোবর ২০২৩ 

৬। স্কিল টেস্ট: ১৮~১৯ অক্টোবর, ২০২৩

৭। চূড়ান্ত রেজাল্ট ঘোষণা: ১০ নভেম্বর ২০২৩


৮। সম্ভাব্য প্রথম রাউন্ড উত্তীর্ণকারীর সংখ্যা


ইন্ডাস্ট্রি: শিপবিল্ডিং

ইপিএস টপিক নম্বর বন্টণ: ১০০

সম্ভাব্য ১ম রাউন্ড উত্তীর্ণকারীর সংখ্যা: ৫৫০জন

২য় রাউন্ডের মাধ্যমে সম্ভাব্য নির্বাচিত প্রার্থীরসংখ্যা: ৫০০জন

মানদন্ড: ইন্ডাস্ট্রি ভিত্তিক সর্বনিম্ন নম্বর (শিপ বিল্ডিং ৪০ নম্বর)বা তার বেশি এবং পয়েন্ট সিস্টেম এ ১১০% এর বেশি নম্বর প্রাপ্তদের ভেতর থেকে উ চ্চ নম্বরের ভিত্তিতে নির্বাচিতব্য প্রার্থীর সর্বোচ্চ সংখ্যককে উত্তীর্ণ করানো হবে।


৯। ইন্ডাস্ট্রি ও সাবক্যাটাগরি


১। প্রত্যেক প্রার্থীকে অবশ্যই প্রত্যাশিত চাকরির জন্য একটি ইন্ডাস্ট্রি ও একটি সাবক্যাটাগরি পছন্দ করতে হবে, যা পরবর্তীতে আর পরিবর্তন করা যাবে না ।

২। শিপবিল্ডিং ইন্ডাস্ট্রির সাবক্যাটাগরি: 

(a) Scaffold 

(b) Insulation 

(c) Grinder 

(d) Welding 

(e) Piping-Mechinery-Joinery+Electric Cabling 

(f) Other 

৩। একজন প্রার্থী শুধুমাত্র ১টি আবেদনপত্র জমা দিতে পারেবেন।


১০। স্কিল টেস্ট বিবরণ


স্কিল টেস্ট এবং স্কোর বিতরণের শ্রেণীবিন্যাস:

শিল্প (স্কিল টেস্ট): শিপবিল্ডিং

মোট নম্বর: ১০০

স্কিল টেস্ট:

শারিরীক শক্তি: 80

ইন্টাভিউ/সাক্ষাৎকার: ৬০


কম্পিটেন্সি টেস্ট (সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির জন্য):

১। শ্ৰেণী ও অতিরিক্ত পয়েন্ট বিবরণ:

কর্মদক্ষতা: ১ বছরের উর্ধ্বে (সর্বোচ্চ ৫ পয়েন্ট)

অন্যান্য যোগ্যতা: এক বা একাধিক (সর্বোচ্চ ২ পয়েন্ট)

প্ৰশিক্ষণ ও শিক্ষাগত যোগ্যতা: সর্বোচ্চ ২০০ ঘণ্টা, সর্বনিম্ন ডিগ্রী/সমমান: সর্বোচ্চ ৩ পয়েন্ট


১১। নির্ধারিত তারিখ ও সময়ের মধ্যে নিবন্ধন সম্পন্ন করতে হবে 


নির্ধারিত তারিখ ও সময়ের মধ্যে কোরীয় ভাষা পারদর্শী আগ্রহী কোনো প্রার্থী নিবন্ধন সম্পন্ন করতে ব্যর্থ হলে কোরীয় ভাষা পরীক্ষা অংশগ্রহণের সুযোগ থাকবে না। এক্ষেত্রে কোনো ধরণের সুপারিশ বা তদবির গ্রহণযোগ্য নয়।


১২। নিবন্ধনকালীন কোনো প্ৰাৰ্থী সমস্যা/ জটিলতার সম্মুখীন হলে এ সংক্রান্ত গুগল ডকস ফর্ম 


নিবন্ধনকালীন কোনো প্ৰাৰ্থী সমস্যা/ জটিলতার সম্মুখীন হলে এ সংক্রান্ত গুগল ডকস ফর্ম https://forms.gle/DPihKbnugRUjAm2X8 এ চাহিত তথ্য দাখিল করার জন্য অনুরোধ করা হলো। তথ্য প্রাপ্তি সাপেক্ষে প্রয়োজনে তাৎক্ষনিকভাবে প্রার্থীর প্রদত্ত মোবাইল নম্বরে এসএমএস বা ইমেইলে জানানো হবে।


১৩। নিবন্ধন সংক্রান্ত বিষয়ে কোনো ব্যক্তি বা প্রাতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে গ্রহণযোগ্য অভিযোগ থাকলে এ সংক্রান্ত গুগল ডকস ফর্ম


নিবন্ধন সংক্রান্ত বিষয়ে কোনো ব্যক্তি বা প্রাতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে গ্রহণযোগ্য অভিযোগ থাকলে এ সংক্রান্ত গুগল ডকস ফর্ম https://forms.gle/BkNGTrrNzX7HHPit9 এ চাহিত তথ্য দাখিল করার জন্য অনুরোধ করা হলো। তথ্য প্রাপ্তি সাপেক্ষে প্রয়োজনে অভিযুক্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

job opportunities for Bangladeshis in shipbuilding sector in south Korea



১৪। নিবন্ধন ও চাকরি সংক্রান্ত সতর্কতা


ইপিএস টপিকে নিবন্ধন ও উত্তীর্ণত হওয়া কেবলমাত্র জব অ্যাপ্লিকেশন করার যোগ্যতাকে নিশ্চিত করে, কোরিয়ায় চাকরির নিশ্চয়তা বহন করে না। অধিকন্তু, যে সব ব্যাক্তি মেডিক্যাল টেস্টে অনুত্তীর্ণ হবে এবং কোরিয়ায় অবৈধ থাকার অভিজ্ঞতা আছে অথবা ই-৯ নির্ণায়কে পড়ে না, তারা দক্ষিণ কোরিয়ায় চাকরির জন্য বিবেচিত হবেন না।

দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রবেশের পর ড্রাগ ও সিফিলিস শনাক্ত হলে কোরিয়া থেকে ফেরত পাঠানো হয় । বাংলাদেশ সরকার-এর প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়-এর সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণাল-এর মধ্যকার সমঝোতা চুক্তি অনুযায়ী একমাত্র বোয়েসেল বৈধভাবে দক্ষিণ কোরিয়ায় শ্রমিক প্রেরণ করতে পারবে। ইপিএস-টপিক’এ উত্তীর্ণ হওয়ার পর যাদের জব রোস্টার কোরিয়ান কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুমোদিত হবে তাদের মধ্য থেকেই কোরিয়ান শিল্প মালিকরা শ্রমিক নিয়োগ দিতে পারবেন। অন্য কোন জনশক্তি রফতানিকারী এজেন্ট বা ভাষাশিক্ষা প্রতিষ্ঠান এর ব্যত্যয় ঘটালে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

ইপিএস টপিক সিবিটি'র নিবন্ধন ও পরীক্ষার ফি'র পর কোরিয়ায় প্রবেশ পর্যন্ত যে ব্যয় হবে তা বৈধ অভিবাসন ব্যয় হিসেবে বোয়েসেল-এর হোম পেইজে প্রকাশিত থাকবে। সুতরাং কোরিয়ায় পাঠানোর নামে কোন প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির প্রতারণা থেকে সতর্ক থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ করা হলো। 

Source: http://www.boesl.gov.bd/

No comments:

Post a Comment